editor
- ১ এপ্রিল, ২০২৩ / ১২১২ Time View
স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকার নবাবগঞ্জ থানা রোডে এতিমখানার সামনে গেল চার থেকে পাঁচ মাস আগে উদ্বোধন করা হয় ‘কাচ্চি ডাইন’ নামের বিরিয়ানি খাবারের প্রতিষ্ঠান৷ উদ্বোধনের দিন খাসির কাচ্চি ও গরুর বিরিয়ানিতে বেশ কয়েক পার্সেন্ট ছড় দেওয়া হয়৷ তাদের মাইকিং ও প্রচারনায় খাবার খেতে ভীড় জমে ক্রেতাদের৷ লাইনে দাড়িয়েও কিনতে হয়েছে অনেকে ৷
পরদিন থেকে ডিসকাউন্ট উঠিয়ে দিয়ে নির্ধারিত মূল্যে খাবার বিক্রি করা হয় ৷ মুটামুটি খাবারের চাহিদাও ছিল বেশ৷ রেস্টুরেন্টের বাহিরে ডেকোরেশন সুন্দর ও আকর্শনীয় করায় অনেকের চোখে কাচ্চি ডাইন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে ৷
এরপর শুরু হতে থাকে এই কাচ্চি ডাইন নিয়ে নানা অভিযোগ। ডেকোরেশনের দিক দিয়ে পরিবেশ বললেও ক্রেতারা খাবার খেয়ে রাস্তাঘাটে বলাবলি শুরু করেন খাবারের মান নিয়ে।
অনেকেই বলেন, মূল্য অনুযায়ী খাবারের পরিমাণ কম ৷ আবার অনেকেই জানান, কাচ্চিতে খাসির মাংসের পরিমাণও অনেকটা কম ৷ তবে, বেশিরভাগ ক্রেতা ও সচেতন নাগরিক মতপ্রকাশ করেছেন উদ্বোধনের পর পর কাচ্চিতে যেসব খাসির মাংস দেওয়া হতো সেগুলো কোথায় থেকে আনা হতো তা অনেকেই জানেন না।
এছাড়া অনেকের অভিযোগ ছিল কাচ্চিতে যে চাটনী দেওয়া হয় সেগুলো নিয়ে৷ এসব চাটনী অনেকটাই দুর্গন্ধ ছিল৷ মুখে দিয়ে অনেকেই ফেলেও দিয়েছেন গন্ধ হওয়ার কারনে৷
এদিকে এসব অভিযোগ ও রমজান মাসের নিয়মিত অভিযান হিসেবে খাদ্যেভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন৷
শনিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে কাচ্চি ডাইনে অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আঃ হালিম৷
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, এই রেস্টুরেন্টে কাচ্চির সাথে দাম ধরে চাটনী বিক্রি করতেন৷ এসব চাটনী একটি হাঁড়ির মধ্যে খোলা অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে, হাঁড়ির মুখ খুললেই পঁচা দুর্গন্ধ বের হয়। যা পুরোই মেয়াদোত্তীর্ণ। পরে কাচ্চি ডাইন কর্তৃপক্ষের কাছে জিজ্ঞেস করলে তারা বিষয়টি স্বীকার করেন যে, এই চাটনী সরিষার তেল মিশিয়ে প্লাস্টিকের কাপে প্যাক করে কাচ্চির সাথে ক্রেতাদের দেওয়া হয়৷ এছাড়া এই রেস্টুরেন্টে মেয়াদোত্তীর্ণ গন্ধ ছড়ানো বোরহানি (মাঠা) পাওয়া যায়৷
বিষয়গুলো নিশ্চিত করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আঃ হালিম। তিনি বলেন, ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে কাচ্চি ডাইনের পঁচা চাটনী এবং মেয়াদোত্তীর্ণ বোরহানি পাওয়া যায়। এই অপরাধে কাচ্চি ডাইনকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, জনস্বার্থে নবাবগঞ্জে এ অভিযান চলমান থাকবে৷
এদিকে নবাবগঞ্জের কলেজ রোডে হাজী বিরিয়ানিকে ৫ হাজার টাকা, সিয়াম হোটেলকে ৫ হাজার ও বাগমারা বাজারে হাজী বিরিয়ানিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানান ভ্রাম্যমাণ আদালত৷