শুক্রবার, ০২ Jun ২০২৩, ০৩:৪০ অপরাহ্ন
সিলেট প্রতিনিধি:: লেখক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টা মামলায় প্রধান আসামি মো. ফয়জুল হাসানকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ফয়জুলের বন্ধু মো. সোহাগ মিয়াকে চার বছরের কারাদণ্ড এবং পরিবারের বাকি চার সদস্যকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ নূরুল আমীন বিপ্লব এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি মমিনুর রহমান টিটু বলেন, ‘ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টা মামলায় ৬২ সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। গত ১০ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২১ ও ২২ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। এর পর আদালত রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন।’
মমিনুর রহমান টিটু আরও জানান, প্রধান আসামি ফয়জুল হাসান আগে থেকেই কারাগারে ছিলেন। যুক্তিতর্কের শেষ তারিখে বাকি পাঁচ আসামির জামিন স্থগিত করে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০১৮ সালের ৩ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল গ্রাউন্ড সংলগ্ন মুক্তমঞ্চে এক অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চে বসা অধ্যাপক জাফর ইকবালকে পেছন থেকে মাথায় ছুরিকাঘাত করেন মো. ফয়জুল হাসান। উপস্থিত ছাত্র-শিক্ষকরা তাকে ঘটনাস্থলেই আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে। গুরুতর আহত অধ্যাপক জাফর ইকবালকে প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঘটনার পরদিন শাবিপ্রবি’র রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন সিলেটের জালালাবাদ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। জালালাবাদ থানার তৎকালীন পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৬ মে ফয়জুলকে প্রধান আসামি করে মোট ছয় জনের বিরুদ্ধে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
একই বছরের ৪ অক্টোবর ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। পরে ২০২০ সালে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে মামলাটি ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।