শুক্রবার, ০২ Jun ২০২৩, ০২:৪০ অপরাহ্ন

চিরচেনা যানজটের নগরী এখন ফাঁকা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ লম্বা ছুটি পেয়ে নাড়ির টানে যান্ত্রিক নগরী ঢাকা ছাড়ছেন কর্মব্যস্ত মানুষ। ফলে যানজটের নগরী এখন অনেকটাই ফাঁকা হয়ে এসেছে। ঢাকার চিরাচরিত সেই যানজট এখন দেখা যাচ্ছে না। যানজট না থাকায় মানুষ সহজেই ঢাকার ভেতরে যাতায়াত করতে পারছেন। এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো ঈদ উদযাপন হবে ৩ মে। এক্ষেত্রে ঈদ-উল-ফিতরে দেশের সরকারী-বেসরকারী চাকরিজীবীরা ২৯ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত টানা ছয় দিনের ছুটি পেয়েছেন।

ঈদের ছুটি মূলত তিন দিন। তবে ঈদের আগে সাপ্তাহিক ছুটি ও মে দিবসের ছুটি মিলিয়ে এবার ঈদের ছুটি বেড়ে ছয়দিন হয়ে গেছে।

ঈদের আগের শুক্রবার ছিল ২৯ এপ্রিল। পরদিন শনিবার ৩০ এপ্রিল। ১ মে রবিবার শ্রমিক দিবসের সরকারী ছুটি। একই সঙ্গে এদিন ঈদের ছুটিও শুরু হচ্ছে। এরপর সোম ও মঙ্গলবার ঈদের ছুটি। তবে রোজা যদি ৩০টি হয় সেক্ষেত্রে বুধবারও ঈদের সরকারী ছুটি থাকবে। ফলে টানা ছয়দিন ছুটি পাচ্ছেন চাকরিজীবীরা।

এদিকে, কেউ কেউ ৫ মে বাড়তি ছুটি নিয়েছেন। এতে ৬ ও ৭ মে (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে মোট নয়দিন ছুটি কাটাতে পারবেন। এমন লম্বা ছুটি মেলায় গত বৃহস্পতিবার থেকেই ঢাকা ছাড়তে মানুষের ঢল নামে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে।

অবশ্য কেউ কেউ ঝামেলামুক্তভাবে গ্রামের বাড়ি যেতে আরও আগেই ঢাকা ছেড়েছেন। ইতোমধ্যে কয়েক লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে পাড়ি জমিয়েছেন পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে।

এতে কিছুটা হলেও যানজটের নগরী ঢাকার চিত্র বদলে গেছে। রবিবার মতিঝিল গিয়ে দেখা যায়, কর্মব্যস্ত অঞ্চলটি প্রায় ফাঁকা। মানুষের আনাগোনা যেমন কম, গাড়ির চাপও তেমনি কম।

মতিঝিলে কথা হয় বেসরকারী একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আসাদুজ্জামানে সঙ্গে। তিনি বলেন, অফিসের কাজে ধানমন্ডি থেকে মতিঝিল এসেছি। রাস্তায় কোন যানজট নেই। সহজেই চলে আসতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন, ঈদের ছুটিতে অধিকাংশ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। আমি আগেই ঝিনাইদহের গ্রামের বাড়িতে পরিবার পাঠিয়ে দিয়েছি। আমি আজ রাতে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেব। ঢাকায় ফিরব ৭ মে। অনেকদিন পর এমন লম্বা ছুটি পেলাম।

রাজধানীর যানজটপূর্ণ এলাকা কাকরাইলও অনেকটাই ফাঁকা দেখা গেছে। কাকরাইল মোড়ে কথা হয় সুপ্রভাত পরিবহনের চালক মোঃ মান্নানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার এই রুটে যানজট তুলনামূলক কম থাকে। গত দুই দিনে প্রচুর মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। এ কারণে রাস্তায় মানুষ অনেক কম। যে কারণে যানজট নেই।

তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময়ে আধাঘণ্টায় যতটুকু রাস্তা যাওয়া যায়, এখন সেই রাস্তা পার হতে পাঁচ মিনিটের বেশি লাগছে না। রাস্তা এমন থাকলে গাড়ি চালাতে ভাল লাগে। কিন্তু যানজটে আটকে থাকলে খুব বিরক্ত লাগে। মাঝে মধ্যে মনে হয় ঢাকা ছেড়ে চলে যাই। কিন্তু পেটের দায়ে ঢাকায় পড়ে আছি।

যানজটের চিত্র দেখা যায়নি মালিবাগ আবুল হোটেল, রামপুরা অঞ্চলেও। রামপুরায় কথা হয় রিক্সাচালক আব্বাস আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, আজকের মতো গতকালও রাস্তা এমন ফাঁকা ছিল। এখন ভিড় যা আছে সব মার্কেটে। রাস্তায় মানুষের তেমন চাপ নেই।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2020  E-Kantha24
Technical Helped by Titans It Solution