সোমবার, ০৮ অগাস্ট ২০২২, ০৫:০১ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার,ই-কণ্ঠ টোয়েন্টিফোর ডটকম॥ ঢাকার দোহারের মৈনটঘাট থেকে ফরিদপুরের চর ভদ্রাসন নৌপথে লঞ্চ সার্ভিস চালু করছে বিআইডব্লিউটিএ। মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে চলাচলরত সানকেনডেক লঞ্চ নতুন এ নৌপথে চলাচল করবে।
ইতোমধ্যে মৈনটঘাট ও চরভদ্রাসন ঘাটে পল্টুন স্থাপন শেষে হয়েছে। তবে জেটি স্থাপন, সংযোগ সড়ক, যাত্রীছাউনিসহ নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক কাজ বাকি আছে।
শিমুলিয়া জোনের লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি আতাউর রহমান জানান, পদ্মা সেতু চালুর পর শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি-বাংলাবাজার নৌপথের যাত্রী নেই। এখানকার লঞ্চে প্রায় ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ৬০০ মানুষ কর্মরত। এছাড়া, পরিবারসহ প্রায় ৫০ হাজার মানুষ জড়িত। তারা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। দোহারের মৈনটঘাট থেকে ফরিদপুরের চর চন্দ্রভাসন নৌপথে লঞ্চ চলাচলের জন্য কয়েকমাস আগে আমরা বিআইডব্লিউটিএ’র কাছে লিখিত আবেদন করি।
এম এল বেপারি লঞ্চের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর বেপারি জানান, প্রায় ২৬ বছর ধরে আমরা পদ্মা নদীতে সানকেন ডেক লঞ্চে যাত্রী পারাপার হয়েছে। উত্তাল পদ্মা নদীতে এসব লঞ্চ চলাচলে কোনো অসুবিধা হয়নি। নতুন নৌপথেও চলাচলে অসুবিধা হবে না।
বিআইডাব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী পরিচালক শাহাদত হোসেন জানান, পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথের লঞ্চে যাত্রী কমে এসেছে। এজন্য লঞ্চ মালিকদের আবেদন ও অনুরোধের প্রেক্ষিতে নতুন নৌপথে লঞ্চ সার্ভিস স্থানান্তর করা হচ্ছে।
বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাট সূত্রে জানা যায়, দোহারের মৈনটঘাট থেকে পদ্মা নদী পার হয়ে ফরিদপুরের চর ভদ্রাসন ঘাটের দূরত্ব প্রায় সাড়ে ৯ কিলোমিটার। লঞ্চে এ দূরত্ব পার হতে সময় লাগবে প্রায় ৩৫-৪০ মিনিট। আর ভাড়া লাগতে পারে ১০০ টাকা। অন্যদিকে, গুলিস্তান থেকে বাসে মৈনটঘাট আসতে সময় লাগবে প্রায় এক ঘণ্টা। আর যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত একই গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৫০ মিনিট। যাত্রীদের জন্য সাশ্রয়ী হবে। গুলিস্তান থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙা পর্যন্ত ভাড়া লাগবে ২৫০ টাকা। সেখানে নতুন নৌপথে ভাড়া লাগবে ২০০ টাকারও কম। তবে ভাড়া কম লাগলেও সময় বেশি লাগবে এ পথে। কেরানীগঞ্জের কদমতলীসহ বিভিন্ন এলাকার গার্মেন্টস ও কারখানার শ্রমিকদের জন্য এ নৌপথে চলাচলে সুবিধা হবে।