সোমবার, ০৮ অগাস্ট ২০২২, ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, ই-কণ্ঠ টোয়েন্টিফোর ডটকম ॥ চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে রেললাইন পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন। হতাহতরা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী।
শুক্রবার ২৯ জুলাই বেলা দেড়টার দিকে মিরসরাইয়ের বার তাকিয়া স্টেশনে ঢোকার মুখে রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমান বাজারে।
স্থানীয়রা জানান, রেললাইন পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতী ট্রেন প্রায় এক কিলোমিটার সামনে নিয়ে যায়। মাইক্রোবাসে ১৮ যাত্রী ছিল। মাইক্রোবাসের যাত্রীরা খৈয়াছড়া ঝরনা দেখতে আসছিলেন।
মিরসরাইয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুর রহমান জানান, তারা খৈয়াছড়া ঝরনা দেখে ফেরার সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতীর ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও ৭ জন। তাদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনসার আলী জানান, ট্রেনটি বড়তাকিয়া স্টেশন পার হওয়ার সময় লেবেল ক্রসিংয়ের বাঁশ ঠেলে রেললাইনে উঠে যায় মাইক্রোবাস। এতে দুর্ঘটনা ঘটে।
পূর্ব রেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনসার আলী জানান, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ওই লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার মুখে খৈয়াছড়াগামী একটি পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস লাইনে উঠে পড়ে। সংঘর্ষের পর মাইক্রোবাসটি ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে আটকে যায়। ওই অবস্থায় মাইক্রোবাসটিকে বেশ খানিকটা পথ ছেঁচড়ে ছেঁচড়ে নিয়ে থামে ট্রেন।
তবে প্রত্যক্ষদর্শী মফিজুল হক জানান, দুর্ঘটনার সময় গেইটম্যান ছিলেন না। তিনি জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে গেছিলেন। এ ঘটনায় পূর্ব রেলের ডিটিও আনসার আলীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হযেছে। কমিটিকে দ্রুততম সময়ে কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।