বুধবার, ২৫ মে ২০২২, ০৪:৫৪ অপরাহ্ন
রিপোর্টার, ই-কণ্ঠ টোয়েন্টিফোর ডটকম ॥ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান করোনামুক্ত হয়েছে খেলবেন কি সাগরিকায়। কিন্তু হাতে সময় নেই। ১৫ মে থেকে শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার প্রথম টেস্ট। সাকিব কি এই টেস্টে খেলতে পারবেন?
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেই বাঁহাতি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান দুই দফা করোনা টেস্টে পজিটিভ হন। বিসিবি চিকিৎসকরাও জানান, প্রটোকল অনুসারে অন্তত ৫ দিন আইসোলেশন করতে হবে।
তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন সাকিব। কিন্তু ৩ দিনের মাথায় শুক্রবার সকালে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানান, করোনা টেস্টে নেগেটিভ হয়ে সাকিব এদিন সন্ধ্যায়ই চট্টগ্রামে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন এবং আজ অনুশীলনে কোন সমস্যা না দেখা গেলে খেলতেও পারেন সাগরিকায়।
বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর কথায় পরিষ্কার ইঙ্গিত, করোনার ধকল কাটিয়ে সাকিবের খেলা কঠিন হবে। ৫০-৬০ ভাগ ফিট সাকিবকে টেস্টের মতো কঠিন ফরম্যাটে খেলাতে রাজি নন কোচ।
যদিও প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো জানিয়েছেন, শতভাগ ফিট না হলে তিনি সাকিবকে খেলাতে চান না। কারণ টেস্টে লম্বা সময় মাঠে থাকতে হয়। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন অবশ্য খেলার সিদ্ধান্তটি সাকিবের ওপরেই ছেড়ে দিয়েছেন। সেজন্য তিনি খেলবেন কিনা তা বোঝা যাবে আজই। সাকিব না খেললে তার বিকল্প হিসেবে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের কথাই ভাবছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।
তাহলে কে হবেন সাকিবের বিকল্প? যদি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার শেষ পর্যন্ত খেলতে না পারেন, তবে মোসাদ্দেক হোসেনের একাদশে জায়গা প্রায় নিশ্চিত। কেননা হেড কোচ ডোমিঙ্গো এমন একজনকেই চাইছেন, যিনি ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বোলিংয়েও অবদান রাখতে পারবেন।
শুক্রবার সকালে নান্নু তাই বলেন, ‘সাকিব করোনা নেগেটিভ হয়ে আজ সন্ধ্যায়ই দলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে। অনুশীলনে তার পরিস্থিতি ভাল থাকলে খেলতেও পারে।’ তবে টেস্ট ক্রিকেটে লম্বা সময় মাঠে থাকতে হয়। আর ব্যাটে-বলে বাংলাদেশের অন্যতম ভরসা হওয়ার কারণে সাকিবকে অনেক বেশি সময়ের জন্যই মাঠে কাটাতে হয়।
বোলিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ হওয়ার কারণে অনেক বেশি ওভার বোলিং করতে হয় বাঁহাতি স্পিনার সাকিবকে। আর ব্যাটিংয়েও টেস্টে ৬ নম্বরে নেমে অন্যতম ভরসা হয়েই খেলতে হবে তাকে। ইয়াসির আলি রাব্বি মিডল অর্ডারে ভালো করছেন। কিন্তু মোসাদ্দেককে জায়গা করে দিতে রাব্বি বাদ পড়তে পারেন। ডোমিঙ্গোর কথায় তেমন ইঙ্গিত।
ডোমিঙ্গো বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের এমন কাউকে বিবেচনা করা উচিত যে বল করতে পারে। ইয়াসির বেশ কয়েকটা ভালো ইনিংস খেলেছে। কিন্তু আমাদের এমন একজন দরকার, যে কিনা ১০-১৫ ওভার বল করতে পারবে।’
সাকিব না খেললে অলরাউন্ডার কোটায় ঘাটতি থেকেই যায়। এর আগের সিরিজে মুমিনুল হক টুকটাক বোলিং করেছেন। শান্তও পার্টটাইমার হিসেবে ঠিক আছেন। কিন্তু ডোমিঙ্গোর দরকার একজন জেনুইন অলরাউন্ডার। টাইগার কোচের ভাষায়, ‘আমি নিশ্চিত নয়, মুমিনুলের ১০-১৫ ওভার বল করার মতো আত্মবিশ্বাস আছে কিনা। শান্তও দিনে ৬-৭ ওভারের বেশি করে না। দলে এমন একজন দরকার যে ৬-৭ নম্বরে ব্যাট করতে পারে, আবার দিনে ১০-১৫ ওভার বলও করতে পারবে। এটা হলেই ভারসাম্য আসবে দলে।
সাকিব না থাকলে এমন একজন দরকার আমাদের। সাকিব থাকলে তো কাজটা সহজ। কিন্তু তাকে খুব বেশি পাওয়া যায় না।’