মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩, ১২:২২ অপরাহ্ন
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও দাখিল মাদ্রাসার (নব্য এমপিওভুক্ত) মাঠে এবার কলা গাছের বাগান তৈরী করা হয়েছে। পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পিয়ন পদে চাকরী না দেওয়ায়। এর আগে মাদ্রাসাকে দেওয়া ১৬ শতাংশ জমি ফেরত নিয়েছেন জমি দাতা নুরজামাল। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাদ্রাসাটির একাডেমিক ভবনের ঠিক সামনের জায়গাটি জালের নেট দিয়ে ঘেরানো। এর মধ্যে লাগানো রয়েছে ছোট ছোট কলা গাছ। কলা গাছের ফাকেঁ ফাঁকে আবার রয়েছে মেহগনি গাছের চারা। একাডেমিক ভবনের সামনে এভাবে গাছ লাগানোই মাদ্রাসাটির খেলার মাঠ একেবারে শুণ্য পৌছে গিয়েছে। তাছাড়া মাদ্রাসাটির মূল ফটক একেবারে ঢাকা পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মাদ্রাসার পরিচালনাকারী আজির উদ্দীনের লোভ লালসার জন্য আজ প্রতিষ্ঠানটির এই অবস্থা। তারা বলেন, দীর্ঘদিন পড়ে মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হয়েছে। মাদ্রাসার কোন সুপার নেই। সুপারসহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন একই উপজেলার বাংলাগড় দাখিল মাদ্রাসার সুপার আজির উদ্দীন। মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি একটি ব্যবসা খুলে বসেছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
জানা গেছে, ১৬ শতক জমি দেওয়ার বিনিময়ে হোসেনগাঁও এলাকার খাইরুল ইসলাম ওই মাদ্রাসার পিয়ন পদে চাকুরী নিয়েছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন বিনা বেতনের তার দায়িত্বও পালন করেছেন। হঠাৎ ২০১৩ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে খাইরুল ইসলামের শুণ্য পদে তার ছেলে নুরজামালকে মৌখিক পদায়ন করে মাদ্রাসার দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার আজিজুর রহমান। তবে গত ৬ জুলাই হোসেনগাঁও মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর থেকেই মাদ্রাসাটির পরিচালনা পর্ষদের চেহেরা পরিবর্তন হয়ে যায়। তারা নতুন করে পিয়ন পদে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ করেন। আর এ কারণেই মাদ্রাসারা মূল মাঠের দেওয়া জমিটি স্থানীয় সার্ভেয়ারদের দিয়ে মেপে জমি ফেরত নিয়েছেন পিয়ন পদে চাকরি বঞ্চিত নুরজামাল।
এ প্রসঙ্গে নিয়োগ বঞ্চিত নুরজামাল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সে এবং তার বাবা বিনা পারিশ্রমিকে চাকরী করে আসছেন। এখন যখন মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হলো। তখন তারা তাকে বাদ দিয়ে বিপুল অংকের টাকার বিনিময়ে অন্যজনকে নিয়োগ দিচ্ছিল। তিনি আরো বলেন, চাকরীর বিনিময়ে জমি দেওয়ার কথা ছিলো। চাকরীর নিয়োগ চুড়ান্ত হলেই জমি রেজিষ্ট্রি দেওয়ার কথা ছিলো। চাকরী দেয় নাই তাই জমি তারা দখলে নিয়েছেন। এখন কলার আবাদ করার লক্ষ্যে বাগান করেছেন।
এ প্রসঙ্গে সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত মাদ্রাসা সুপার নিজামউদ্দীনের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি বাংলাগড় মাদ্রাসার সুপার আজিজুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠানে জমি ছিলো এবং থাকবে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, যাকে নিয়োগ না দেওয়া নিয়ে এমন হট্টগোল তার বিষয় নিয়ে সভা করা হবে। সেখানেই সিদ্বান্ত নেওয়া হবে জমি দখল ও নিয়োগ নিয়ে কি করা যায়।
এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৈয়ব আলী বলেন, বিষয়টি আমরা গুরত্বসহকারে দেখছি।