বৃহস্পতিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৩:৪৬ অপরাহ্ন
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার চাপোড় পার্ব্বতীপুর দাখিল মাদ্রাসা ভূয়া ভোটার তালিকা তৈরি করে নির্বাচন ও আদালত অবমাননার অভিযোগে ২৪ অক্টোবর (সোমবার) ইউএনও সহ চার জনকে শোকজ করেছে আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মৌজা বিহীন ২৩৬ জন ভূয়া ভোটার তালিকা অনুমোদন করে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৈয়ব আলীকে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয় এডহোক কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার রমজান আলী তার নিঃসন্তান ভ্রাতা মোজাম্মেল হককে ভোটার করা ও আনিকুল ইসলামের ৭ম শ্রেণী পড়ুয়া কন্যা থাকা সত্তেও ভোটার না করায় গত ১০ অক্টোবর মাদ্রাসা সুপার রমজান আলী সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও সহকারি জজ আদালতে মামলা করেন অভিভাবক আনিকুল ইসলাম।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদীগনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। আদালতের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নির্বাচন অনুষ্ঠিত করায় গত ২৪ অক্টোবর পুনরায় বিবাদীগণকে শোকজ করেন আদালত। নোটিশ প্রাপ্তির ৩ দিনের মধ্যে কারন দর্শাইবার জন্য সুপার রমজান আলী, এডহোক কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির, শিক্ষক প্রতিনিধি হাকিম, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তৈয়ব আলীকে শোকজ করেন।
এব্যাপারে অভিভাবক আনিকুল ইসলাম বলেন, ”চাপোড় পাব্বর্তীপুর মাদ্রাসায় নিয়মিত ৩০-৪০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ২৩৬ জন ভোটার কিভাবে হলো তা আমাকে হতবাক করেছে। নিয়োগ বানিজ্য করবেন বলেই মাদ্রাসা সুপার কৌশলে তার মনোনীত লোকদের ম্যানেজিং কমিটিতে নিয়ে এসেছেন। এছাড়াও মাদ্রাসা স্থাপনের ক্ষেত্রে ১৫০শতক জমি থাকার নিয়ম থাকলেও সেখানে রয়েছে মাত্র ৪০ শতক জমি।”
এব্যাপারে মাদ্রাসা সুপার রমজান আলী’র সাথে তথ্য চাইতে গেলে তিনি সংবাদকর্মি দেখে সটকে পড়েন।
এ প্রসঙ্গে সভাপতি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির মুঠোফোনে বলেন, আদালতে সুপার কি প্রতিবেদন দিচ্ছে দেখাযাবে। তাছাড়া নিঃসন্তানরা কিভাবে ভোটার হয় তা খতিয়ে দেখা হবে।