বুধবার, ০৭ Jun ২০২৩, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন

ব্যাংক ঋণের সুদের সীমা তুলে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ই-কণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক:: ব্যাংকগুলো অনেক দিন ধরেই সুদহারের সীমা তুলে দেওয়ার দাবি জানালেও অনড় ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অবশেষে সেই অনড় অবস্থান থেকে সরে আসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তুলে দেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ ঋণের সুদহার। এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ প্রদানের অন্যতম শর্ত সুদহার বাজারভিত্তিক করা।

রোববার (১৯ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি-সংক্রান্ত এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বৈঠকে ডেপুটি গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ও কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, আমানতের সুদহার উন্মুক্ত করে দেওয়া ও ঋণ সুদহারে কিছুটা শিথিল করায় তা আমানতের সুদহার বাড়াতে সহায়তা করবে। তাই বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমানতের সর্বনিম্ন সুদহার তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভোক্তাঋণের ক্ষেত্রে সুদহার ৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। বর্তমানে ব্যাংকের সব ধরনের ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ। ভোক্তাঋণের সুদহার বাড়ানোর ফলে ব্যাংকগুলো তা ১২ শতাংশ পর্যন্ত করতে পারবে বলেও জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বৈঠকে থাকা সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান,নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা হবে আগামী জুন মাসে। মুদ্রানীতি কেমন হবে এ বিষয়ে বৈঠকের আলোচনা হয়েছে। যেহেতু ঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক করার বিষয়ে আইএমএফের শর্ত রয়েছে তাই এখন যে ৯ শতাংশ গ্যাপ রয়েছে তা কীভাবে তুলে বাজার ব্যবস্থার ওপর ছেড়ে দেওয়া যায় এটার কৌশল নির্ধারণ করার জন্য আলোচনা করা হয়েছে। যেমন লাইবর রেটের সঙ্গে ব্যাংক নির্ধারিত সুদ যোগ করে মোট সুদহার নির্ধারণ করা হয়। ঠিক সেভাবে পাঁচ ধরনের বন্ডের সুদহারের গড় রেটের সঙ্গে একটি রেট নির্ধারণ করে দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ব্যাংকাররা জানান, ব্যাংকগুলো অনেক দিন ধরেই সুদহারের সীমা তুলে দেওয়ার বিষয়ে দাবি জানিয়ে আসছে। কেননা ঋণে ৯ শতাংশ সুদের সীমা থাকায় আমানতে সুদ বাড়াতে পারছে না ব্যাংকগুলো। আবার সুদ না বাড়িয়েও ঋণ পাচ্ছে না। আইএমএফের সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণের অন্যতম শর্ত সুদহার বাজারভিত্তিক করা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনেও সুদহারের সীমা প্রত্যাহার অথবা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, নতুন মুদ্রানীতি নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। আগামী জুনের তৃতীয় সপ্তাহে মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। চলমান মুদ্রানীতির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও আগামী মুদ্রানীতিতে কী কী থাকবে বৈঠকে সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নতুন মুদ্রানীতিতে ব্যাংক ঋণের সুদহার কি করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এখানে ব্যান্ডিং ও রেফারেন্সের রেটের কথা ভাবা হচ্ছে। এসব বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আগামী মুদ্রানীতিতে এসব বিষয়ে বিস্তারিত ঘোষণা করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2020  E-Kantha24
Technical Helped by Titans It Solution