বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
নড়াইল প্রতিনিধি:: নড়াইল জেলার লক্ষীপাশা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষকে স্বামী দাবি করে বুধবার দুপুরে অধ্যক্ষ’র দপ্তরে হাজির হলেন ৪০ উর্ধ্ব এক নারী। খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের ইব্রাহীম বিশ্বাসের কন্যা মোসা: লাভলী ইয়াসমীন (৪২) নিকটাত্বীয়দের সঙ্গে নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেনকে তার স্বামী বলে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে চান। এ সময় অধ্যক্ষ’র রুমে থাকা কলেজের নারী শিক্ষকরা স্ত্রী দাবি করা লাভলীকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে লাভলী ইয়াসমীন তার নিকটাত্বীয়দের নিয়ে অধ্যক্ষ’র রুম থেকে বের হয়ে যান।
মোসা: লাভলী ইয়াসমীন বলেন, অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন আমাদের বাড়িতে লজিং থেকে বিএল কলেজে লেখাপড়া করতো। সে সময় অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন বিএল কলেজে ছাত্র শিবিরের রাজনীতি করতো। ১৯৯৮ সালের ১০ই মে তারিখে অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেনের সাথে পারিবারিক ভাবে আমার বিবাহ হয়। যার রেজিষ্ট্রি কাবিন আছে। অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন তার বাড়িতে পরে তুলে আনবেন বলে আমার বাবার বাড়িতে আমাকে রেখে আমার সাথে সংসার করেছেন। সেই থেকেই নিয়মিত যাতায়াত করতেন। এবং আমার মা ও ভাইয়ের কাছ থেকে অনেক আর্থিক সুবিধা নিতেন। কয়েক মাস আগে আমার মা মারা গেলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। আমি অনেক পরে জানতে পেরেছি অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন আরেকটি বিবাহ করেছে। আমি এর বিচার চাই যে কারনে আজ লক্ষীপাশা মহিলা ডিগ্রি কলেজে এসেছি।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মো: ফারুক হোসেন জানান, ১৯৮৩ সালে আমি দেয়াড়া গ্রামের ইব্রাহীম বিশ্বাসের বাড়িতে লজিং থাকতাম। ইব্রাহীম বিশ্বাসের কন্যা লাভলী ইয়াসমীন সে সময় তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। পরবর্তীতে আমি পড়াশুনা শেষ করে বাড়িতে চলে আসি এবং শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেই। আমি ১৯৯১ সালে অভিভাবকদের মাধ্যমে যে মেয়েকে বিবাহ করি তিনি বর্তমানে সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেন। লাভলী নামের ওই নারী কু-মতলবে, লোভের বশবর্তী হয়ে আমাকে স্বামী হিসেবে দাবি করছে। আমি ওই বিষয়ে আদালতে ছয় মাস পূর্বে চ্যালেঞ্জ করেছি। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে লাভলী ইয়াসমীন নামে ওই নারী অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছেন।