বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন
সাদের হোসেন বুলু, নবাবগঞ্জ থেকে:: রাজধানী শহর ঢাকার কাছে অবস্থিত নবাবগঞ্জ উপজেলা। এই উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের কৃষি ভিত্তিক ফসলের মাঠ জুঁড়ে এখন শোভা পাচ্ছে হলদে সরিষা ফুল। প্রতিটি ফসলের মাঠ যেন হলদে সরিষা ফুলের অপরূপ সাজে সেজেছে।
আমাদের পল্লী কবি জসিম উদ্দিন তার লেখা কবিতায় বলেছেন, ঘুম হতে আজ জেগেই দেখি শিশির-ঝরা ঘাসে, সারা রাতের স্বপন আমার মিঠেল রোদে হাসে। আমার সাথে করতে খেলা প্রভাত হাওয়া ভাই, সরষে ফুলের পাঁপড়ি নাড়ি ডাকছে মোরে তাই। নবাবগঞ্জের প্রতিটি ফসলের মাঠে সরিষা ফুল ছড়াচ্ছে নান্দনিক সৌন্দর্য, আর সরিষা ফুলকে ঘিরে মধু আহরণে ফুলে ফুলে বসছে মৌমাছি। শীতের পড়ন্ত বিকেলের মিষ্টি রোদে সরিষা ফুলগুলো বাতাসে দোল খেতে থাকে। এযেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের কর্মকর্তাদের তথ্য অনুসারে, উপজেলা ১৪টি ইউনিয়নে এবছর ব্যাপক ভাবে সরিষা চাষ করেছে কৃষকরা। তাদের দেওয়া তথ্য অনুসারে উপজেলার কান্দামাত্রা এলাকার বিনয় মজুমদার ২ একর, দেলোয়ার হোসেন খান ১ একর ও কোন্ডা গ্রামের আসাদুল ইসলাম তমাল ১ একর জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে সরিষা চাষে প্রায় ৭ হাজার টাকা খরচ হয় বলে উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের পাড়াগ্রামের কৃষক মিরাজ মিয়ার দাবি।
কৃষি সংশ্লিষ্ট দপ্তর জানায়, অনুকূল আবহাওয়া ও সরকারের বিশেষ প্রণোদনার কারনে, এ বছর কৃষক ঝুঁকছেন সরিষা চাষের দিকে। ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির কারণ বলে মনে করছেন অনেকে। বর্তমানে সয়াবিন তেলের দাম অসহনীয়ভাবে বৃদ্ধি যাওয়ায় চলতি বছর এ উপজেলায় আশানুরূপ সরিষার চাষ বেড়েছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাহিদুজ্জামান বলেন, এ বছর নবাবগঞ্জ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৭০০ হেক্টর। কিন্ত আবাদ হয়েছে ২৭৩৫ জমিতে। নবাবগঞ্জে উন্নত জাত যেমন- বারি-১৪, বারি-১৭, বারি-১৮, বিনা-৪, বিনা-৯ জাতের সরিষার চাষ হচ্ছে এখন।
তিনি আরো বলেন, সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের মাঝে উন্নত জাতের বীজ বিতরণ করা হয়। এছাড়া ও কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ অব্যাহত থাকবে কৃষকদের জন্য।