শনিবার, ১০ Jun ২০২৩, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ সামনে ঈদ, নগরের বিভিন্ন শপিং মলে চলছে বিকিকিনি। নগরজুড়ে মধ্য রাতেও যানজট। দেখে বোঝার উপায় নেই ঘড়ির কাটায় রাত ১টা। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশের দায়িত্ব বেড়েছে কয়েকগুণ। তাই তো আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আরও তৎপর সংস্থাটি।রাত পোহালেই জব্বারের বলি খেলা ও আর সপ্তাহ পেরুলেই ঈদ। দুয়ে মিলে যখন ব্যস্ত শহর তখন নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশী অভিযান করেছে পুলিশ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নগরের বাকলিয়া, চান্দঁগাও, বায়েজিদ ও আকবরশাহ থানার বিভিন্ন এলাকায় বসানো হয়ে চেকপোস্ট। তল্লাশী চালানো হচ্ছে গাড়ি, চেক করা হচ্ছে কাগজপত্র।সিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জব্বারের বলী খেলা, বৈশাখী মেলা ও ঈদকে সামনে রেখে নগরে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। তাই আইন শৃঙ্খলার অবনতি যাতে না হয় সেজন্যই নিয়মিত এ তল্লাশী অভিযান।
নগরের বাকলিয়া এক্সসেস রোড এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, এ রোডে সব সময় চুরি-ছিনতাই হয়ে থাকে। কিন্তু পুলিশি তল্লাশীর কারণে বেশ কয়েকদিন ধরে চুরি-ছিনতাই কমে এসেছে। রাতে সেহেরির আগ পর্যন্ত দোকান খোলা রাখলেও কোনো ধরণের সমস্যায় পড়তে হয়নি। মো. নিলয় চৌধুরী নামে এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, রাতে পুলিশের চেকপোস্ট দেখলে আশেপাশের কয়েক কিলোমিটার নিরাপদ বলে মনে হয়। তবে পুলিশের টহলের গাড়িগুলো এক স্থানে দাঁড়িয়ে না থেকে চলাচলের মধ্যে থাকলে সাধারণ মানুষের জন্য সুবিধা।
বাকলিয়া এক্সসেস রোডে চেকপোস্টের দায়িত্বরত বাকলিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আসাদ উল্লাহ রাজু বলেন, নিয়মিত চেকপোস্টের কারণে একাধিক সুফল পাওয়া যায়। ছোট-বড় সবধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। চেকপোস্টে গাড়ির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। সাময়িক অসুবিধা হলেও জনগণ সুফল পাচ্ছে।
রুবি গেইট এলাকায় স্থাপন করা চেকপোস্টে দায়িত্বরত বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, নিয়মিত চেকপোস্টের কারণে বড় ধরণের অর্জন না থাকলেও অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) জয়নুল আবেদীন বলেন, থানা পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগ যৌথভাবে নিয়মিত চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।