শুক্রবার, ০২ Jun ২০২৩, ০৩:৩১ অপরাহ্ন
আব্দুল হানিফ মিঞা, বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:: মাঘের শেষে ঋতুর রাজা বসন্তের আগমনি বার্তায় শুরু হয়েছে কোকিলের কুহু কুহু ডাক আর গাছে গাছে জেগে উঠেছে সবুজ পাতা, মুকুল আর ফুল। আম, লিচু গাছে নতুন পাতা ও মুকুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে আবার এলো ফাল্গুন এলো বসন্ত। ঋতুরাজ বসন্তে গ্রাম বাংলার প্রকৃতিতে রাঙিয়ে ফুটেছে শিমুল ফুল। নানা ছন্দে কবি সাহিত্যিকদের লেখার খোরাক যোগাতো রক্ত লাল এই শিমুল ফুল। কিন্তু কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি থেকে এখন বিলুপ্ত প্রায় মূল্যবান শিমুল গাছ। তাই ফাগুনের রঙে রাঙানো রক্তলাল শিমুল গাছ খুব একটা চোখে পড়েনা।
বাঘার প্রবিণ ব্যাক্তি আবুর কাশেম জানান, আগে গ্রাম বাংলার বিভিন্ন এলাকায় শিমুল গাছের বেশ ব্যাপকতা ছিল। এই শিমূল ঔষধি গাছ হিসেবেও পরিচিত। গ্রামাঞ্চলের মানুষ বিষ ফোড়াতে, আখের গুড় তৈরিতে শিমুলের রস ও কোষ্ঠ কাঠিণ্য নিরাময়ে গাছের মূলকে ব্যবহার করতো। বর্তমানে নানা কারনে তা হ্রাস পেয়েছে। শিমুল গাছ কেউ রোপণ করেনা। এমনিতেই জন্মায়। দিনে দিনে বড় হয়ে একদিন বিশাল আকৃতি ধারন করে। গ্রাম বাংলার এই শিমূল গাছ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনে দিত। হতদরিদ্রর মানুষেরা এই শিমুলের তুলা কুড়িয়ে বিক্রি করতো। অনেকে নিজের গাছের তুলা দিয়ে বানাতো লেপ, তোষক, বালিশ। শিমুলের তুলা বিক্রি করে অনেকে সাবলম্বী হয়েছে, এমন নজিরও আছে বলে জানান তিনি।
উপজেলা পরিবেশ ও বন উন্নয়ন কমিটির সদস্য সচিব সাদেকুর রহমান জানান, একটি বড় ধরনের গাছ থেকে তুলা বিক্রি করে ৫/৬ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। আগের তুলনায় এখন শিমুলের তুলার দাম অনেক বেড়ে গেছে। এর পরেও এই গাছ নিধন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যার কারনে গ্রাম বাংলার বুক থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে, অতি পরিচিত শিমূল গাছ। কাঠ ব্যবসায়ী লায়েব উদ্দীন বলেন, আগে বড় বড় গাছ কিনে নিত ম্যাচ ফ্যাক্টরিগুলো। বর্তমানে নৌকা এবং ইমারতের শাটারিংয়ের কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া ছোট ছোট গাছ নিধন করে পোড়ানো হচ্ছে ই্টভাটা ও বেকারিগুলোতে।