বৃহস্পতিবার, ০৪ মার্চ ২০২১, ১২:০৬ অপরাহ্ন
খুলনা ব্যুরো::
খুলনায় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রমে নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। বিশেষ করে ভর্তি ফিসের ভিন্নতা, অনলাইনে কৃত্রিম জট ও শিক্ষকদের অবহেলাসহ ভর্তি কার্যক্রমে নানামুখী বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ভর্তি কার্যক্রম শেষে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে একাদশ শ্রেণীর নতুন বর্ষের ক্লাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে আপাতত অনলাইনে ক্লাস নেবে কলেজগুলো। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ক্লাস সম্পর্কিত তথ্য জানিয়েছেন।
অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, নগরীর মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজে রোববার সকাল ৮টায় মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তির তারিখ নির্ধারণের নোটিশ টানানোর পূর্বনির্ধারিত শিডিউল ছিল। পূর্বনির্ধারিত সময়ের দেড় ঘন্টা পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খোলা হয় কলেজ গেট। নোটিশ টানানো হয় বেলা ১১টায়। এ সময়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েন হাজারো অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি ও সুরক্ষা দূরত্ব মাথায় ছিল না কারো। দুপুর ১২টার দিকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে সকাল থেকেই সিটি কলেজে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি বন্ধ ছিল বলে অভিযোগ করেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
তারা জানিয়েছেন, সরকারি সুন্দরবন আদর্শ মহাবিদ্যালয়, খুলনা মহিলা কলেজ, পাইওনিয়ার মহিলা কলেজ এবং কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তির ফিসের বিস্তর ফাঁরাক রয়েছে। সিটি কলেজে ভর্তি ফিস নেয়া হচ্ছে ২ হাজার ৯৫০টাকা আর সুন্দরবন কলেজে নেয়া হচ্ছে ২ হাজার ৭৩০টাকা। তারই পাশে কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির ফিস প্রায় ৮ হাজার টাকা।
নগরীর একাধিক কলেজ গেটে দাঁড়িয়ে অভিভাবকরা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, অনলাইনগুলোতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে জট তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। কলেজের ওয়েবসাইট ব্লক করে রাখছেন কর্তৃপক্ষ। এতে একটি চক্র সরলমনা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অর্থের বিনিময়ে পছন্দের কলেজে ভর্তির অবৈধ সুযোগ নিতে চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। তবে কলেজগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, ইন্টারনেট সংযোগে ত্রুটির কারণে বিলম্ব হতে পারে। তবে, কোন অনিয়ম হচ্ছে না।