শুক্রবার, ০২ Jun ২০২৩, ০৩:২২ অপরাহ্ন
মুজিবুর রহমান বাবু, ই-কণ্ঠ টোয়েন্টিফোর ডটকম ॥ আট বছরে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেলেন ৮৫জন। তাই আট বছরে মনোনীত ৮৫ জনকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদানের দিনটিকে আনন্দঘন ও ঐতিহাসিক উল্লেখ করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
বুধবার ১১ মে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়ালি উপস্থিতিতে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেছেন দেশের ক্রীড়ার এই অভিভাবক। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কর্তৃক ক্রীড়াক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ২০১৩ হতে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৮৫জন কৃতি ক্রীড়াবিদ/ক্রীড়া সংগঠককে “জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার” প্রদান করা হয়েছে। ‘ক্রীড়াঙ্গনের এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ ৮ বছরে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেলেন ৮৫ জন।
১১ মে বুধবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য মনোনীত বিশিষ্ট খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠকদের মধ্যে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর পক্ষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। পুরস্কার প্রাপ্ত প্রত্যেকে পেয়েছেন-একটি আঠারো ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণপদক, এক লক্ষ টাকার একটি চেক এবং একটি সম্মাননাপত্র।
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল এমপি এর সভাপতিত্বে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্হায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন।
যেন ক্রীড়াঙ্গনে ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের মিলনমেলা। প্রায় সব ধরনের খেলার সাবেক ও বর্তমান ক্রীড়াবিদ, কোচ, সংগঠক… কে না ছিলেন এই মধুর মিলনমেলায়। বহু বছর পর দেখা-সাক্ষাত। তাই আবেগে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরা, আবেগে আপ্লত হওয়া, হাসি-ঠাট্টায় মেতে ওঠা, মোবাইলে সেলফি তোলার ধুম… ক্রীড়াঙ্গনে এমন দৃশ্য দেখা গেল অনেকদিন পর। উপলক্ষটা ছিল বড়Ñ মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
আয়োজক ছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সভাপতির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জানান, ১১ মে বুধবার বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য এক বিশেষ আনন্দঘন দিন। এটি এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনবদ্য ও গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৩ হতে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৮৫ জন গুণী খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠককে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করতে পেরে আমরা অভিভূত । আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সম্মানজনক রাষ্ট্রীয় এ স্বীকৃতি আপনাদেরকে ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে কাজ করতে আরো উৎসাহিত করবে। প্রতিমন্ত্রী পুরস্কার বিজয়ী সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
প্রতিমন্ত্রী পুরস্কার বিজয়ী সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশ আজ এক আশা জাগানিয়া নাম। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশ আজ এক আশা জাগানিয়া নাম। ক্রীড়া অন্তঃপ্রান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাতৃসম মমতায় দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ক্রীড়াক্ষেত্রে একের পর সাফল্যের ইতিহাস রচিত হচ্ছে। আর এ সাফল্যের স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে।
দেশ স্বাধীনের পরপরই তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে এক মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭২ সালে গঠন করেছিলেন ক্রীড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা- যা আজকের জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ । একই বছর প্রতিষ্ঠা করেন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনসহ অন্যান্য ক্রীড়া ফেডারেশন। শাহাদাত বরণের মাত্র ৯দিন পূর্বে অসহায় দু:স্থ অস্বচ্ছল ক্রীড়াসেবীদের কল্যাণে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন’।
ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্তদের অনুূভূতি
জুয়েল রানা : ‘অনেকদিন মাঠে খেলেছি। আজ একটা স্বীকৃতি পেলাম। এর চেয়ে বড় আনন্দের কিছু নেই।’
কাজী আনোয়ার : ‘সরকার আমাদের সম্মান করেছে এজন্য কৃতজ্ঞ। তবে এটা আরো আগে হলে আরও সুন্দর হতো।’
খন্দকার রকিবুল ইসলাম : ‘১৯৭৩ সালে প্রথম আসি ঢাকায়। তখন আমি বাচ্চা ছেলে। ৪৯ বছর ধরে আছি ফুটবলের সঙ্গে। আজ বড় একটা স্বীকৃতি পেলাম। কতটা ভাল লাগছে বলে বোঝাতে পারব না।’
সুলতানা পারভীন লাভলী : ‘আরও আগে পাওয়া উচিত ছিল এই পুরস্কার। কেন দেরিতে পেলাম, তা বলতে পারব না। এর আগে যারা পুরস্কার পেয়েছে তাদের থেকে আমার পদক বেশি আছে। তবে দেরিতে হলেও পুরস্কার পেয়েছি।’
রফিক উল্ল্যাহ আখতার মিলন : ‘তৃণমূল থেকে অনেক খেলোয়াড় তুলে এনেছি। তারা জাতীয় পর্যায়ে পদক জিতেছে। চাকরি পেয়েছে। নিজেদের পরিবারের হাল ধরেছে। ভাবতে ভাল লাগছে যে পরিশ্রমের সেই মূল্য পেলাম। আমার আর কিছুই পাওয়ার নেই।’
তৈয়ব হাসান : ‘রেফারিং-আম্পায়ার থ্যাঙ্কলেস জব কিন্তু ক্রীড়াঙ্গনে অনেক বড় ভূমিকা রাখে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আমাদের মূল্যায়ন করায় ধন্যবাদ। রেফারিং জীবনে অনেক প্রাপ্তির মধ্যে আজ বড় একটা প্রাপ্তি হলো। তবে এই ১ লাখ টাকা নেব না, টাকাটা আর্তমানবতার সেবায় দান করব।’
শাহরিয়া সুলতানা : ‘আসলে গতকাল রাতে ঘুমাতেই পারিনি। কখন সকাল হবে, কখন পুরস্কার পাব।’
তানভীর মাজহার তান্না : ‘এতদিন পর কাজের স্বীকৃতি পেলাম, মন্ত্রণালয় পুরস্কার দিয়েছে। এতেই অনেক ভাল লাগছে।’
আওলাদ হোসেন : ‘এই পুরস্কার পেয়ে ভীষণ খুশি। এটা আমার জীবনে বড় এক প্রাপ্তি।’
মরহুম সংগঠক আফজালুর রহমান সিনহার পক্ষে তার সতীর্থ জাহাঙ্গীর শাহ বাদশা ॥ ‘জীবিত থাকতেই এই পুরস্কার প্রদান করা উচিত। তাহলে সবাই সবার জীবদ্দশায় একটি প্রশান্তি পায়।’
নাজমুল আবেদীন ফাহিম : ‘কাজের স্বীকৃতি পেলে আরও ভাল কিছু করার তাগিদ বাড়ে’।
জালাল ইউনুস : ‘বাংলাদেশে সকল ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের স্বপ্ন থাকে একদিন ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়ার। সর্বোচ্চ এই পুরস্কার পাওয়ায় ভাল লাগছে। ক্রীড়াঙ্গন এবং বিশেষত ক্রিকেটের প্রতি দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল।’
কাজী নাবিল আহমেদ : ‘বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে আবাহনীর