বৃহস্পতিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০২:৪১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকার দোহার উপজেলার কার্তিকপুর বাজার একটি পুরনো বাণিজ্যিক কেন্দ্র বলা যায়। ব্রিটিশ শাসন আমল থেকেই এখানে ধান চালের ব্যবসায় বেশ রমরমা ছিলো। কিন্তু পদ্মার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা আটকে যাওয়াতে সেই অবস্থা না থাকলেও বেশ জমে উঠেছে। পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় মৈনটঘাট যেন এ অঞ্চলকে বেশ আলোকিত করেছে। গত দুই দশকে দোহারের অলিগলিতে বহু রাস্তা পাকা হলেও খোদ কার্তিকপুর স্কুল হতে শরীফ রাইচমিল পর্যন্ত এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা সুনীল ঘোষের বাড়ী হয়ে জাবেদ আলীর বাড়ী রাস্তাটি যেন খানাখন্দে ভরপুর। দীর্ঘদিনেও কারো নজরে পড়ছে না।
স্থানীয়দের ধারণা, আশপাশের সব রাস্তার উন্নয়ন কাজ হলেও এ রাস্তাটি যেন অবহেলায় পড়ে আছে। সর্বশেষ ২১ বছর আগে রাস্তা সংস্করণের উদ্যোগ নিলেও তা পরিপূর্ণতায় রুপ নেয়নি। তাই এলাকার সাধারণ মানুষের অভিযোগ তারা রাজনীতির কারণে কি কোনো উন্নয়ন বঞ্চিত হচ্ছে কি না।
স্থানীয় সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী জনৈক ব্যক্তি বলেন, কি কারণে এ রাস্তাটি কারো নজরে পড়ছে না তা বোধগম্য নয়। তবে এক সময় এ সড়কটি ছিলো কার্তিকপুর, সুন্দরীপাড়া ও আশপাশের কয়েক হাজার বাসিন্দার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । যা কালের বির্বতনে অনেকটাই নর্দমায় পরিণত হতে চলেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সামান্য বৃষ্টিতেই এখানে পানি জমে যায়। কার্তিকপুর বাজারের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থানরত বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও বাজারে যাতায়াত করতে তাদের সীমাহীন কষ্ট করতে হয়। তারা এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চায়।
কুসুমহাটি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের মন্ডল বলেন, আমি কিছু দিন আগে দায়িত্ব পেয়েছি। রাস্তাটি বেহালদশা আমার নজরে আছে। খুব শীঘ্রই এ রাস্তার বিষয়ে উন্নয়ন কাজ হাতে নেয়া হবে।