মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়তা করতে এই ঘোষণা: মার্কিন দূতাবাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ই-কণ্ঠ অনলাইন:: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অঙ্গীকার করেছেন তা বাস্তবায়নে সহায়তা করতেই নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ মে) রাতে ওয়েবসাইটে এ কথা জানায় ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার ওয়াশিংটনে ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইটে নতুন ভিসা নীতি সম্পর্কে সম্ভাব্য বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছে।

ভিসা বিধি-নিষেধ কার বা কাদের জন্য প্রযোজ্য হবে—এ প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বলেছে, এই নীতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত যেকোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অন্য অনেকের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান বা সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকারের সমর্থক এবং বিরোধীদলীয় সদস্যরা এর অন্তর্ভুক্ত। এ ধরনের ব্যক্তিদের নিকটতম পরিবারের সদস্যরাও এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি শক্তিশালী অংশীদারি গড়ে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকারকে আমরা স্বাগত জানাই।

সরকার বা আওয়ামী লীগ এই বিধি-নিষেধের লক্ষ্য নয়: প্রশ্ন ছিল, এই ভিসা বিধি-নিষেধ কি সরকার বা আওয়ামী লীগের দিকে নির্দেশ করছে? জবাবে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বলেছে, না, যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। এই নতুন নীতির অধীনে বিধি-নিষেধগুলো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে তাদের লক্ষ্য করে পরিচালিত হবে যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন আচরণে বা কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকবে।

ভিসা বাতিলের বিষয়ে অবহিত করবে যুক্তরাষ্ট্র: যাদের ভিসা প্রত্যাহার করা হয়েছে তাদের অবহিত করা হবে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে দূতাবাস বলেছে, যাদের ভিসা প্রত্যাহার বা বাতিল করা হয়েছে তাদের অবহিত করা একটি সাধারণ রীতি।

উচ্চস্তরের আদেশ অনুসরণ করে অপরাধ করলে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে কি না—প্রশ্নের জবাবে দূতাবাস বলেছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত যেকোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই নীতি প্রযোজ্য।

রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা কমানোর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন: ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তা কমাতে (এসকর্ট প্রত্যাহার) বাংলাদেশ সরকারের গত ১৪ মের সিদ্ধান্তের প্রতিশোধ হিসেবে কি যুক্তরাষ্ট্র এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে—এ প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বলেছে, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের নিবিড় সহযোগিতার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা গত ৩ মে এই নীতিগত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তাদের অবহিত করেছি।

যুক্তরাষ্ট্র যে কারণে চিন্তিত: যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এত চিন্তিত কেন—জবাবে মার্কিন দূতাবাস বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র সর্বত্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার অঙ্গীকার করেছে। সেই প্রচেষ্টাকে এবং বাংলাদেশিরা যাতে তাদের নেতা বেছে নেওয়ার জন্য নির্বাচন করতে পারে সে জন্য তাদের সহযোগিতা করতেই এই নীতি নেওয়া হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2020  E-Kantha24
Technical Helped by Titans It Solution